দুর্নীতির অভিযোগের প্রেক্ষিতে ব্যাপক বিতর্ক এবং বিরোধীদের চাপের মুখে যুক্তরাজ্যের ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির দুর্নীতিবিরোধী ট্রেজারি মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিক পদত্যাগ করেছেন। তবে এবার তার এমপি পদ থেকেও সরে যাওয়ার চাপ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইল জানায়, টিউলিপের আসন হ্যাম্পস্টেড অ্যান্ড হাইগেটে বিরোধী দল কনজারভেটিভ পার্টি তার পদত্যাগের দাবি জানিয়ে প্রচারণা শুরু করেছে। আগামীকাল সোমবার (২৭ জানুয়ারি) এক পিটিশনের মাধ্যমে তাকে নির্বাচনী এলাকার জনগণের মুখোমুখি করার দাবি জানানো হবে।
অভিযোগের কেন্দ্রবিন্দু:
টিউলিপ সিদ্দিক এবং তার পরিবারের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, তারা বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মাধ্যমে ৫ বিলিয়ন ডলার তহবিল তছরুপ করেছেন। এছাড়া শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠজনের কাছ থেকে লন্ডনের কিংস ক্রসে একটি বিলাসবহুল ফ্ল্যাট উপহার নেওয়ার অভিযোগও রয়েছে।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে টিউলিপ সিদ্দিক নিজেকে ব্রিটিশ সরকারের মন্ত্রীদের নৈতিকতা পর্যালোচনাকারী উপদেষ্টা স্যার লরি ম্যাগনাসের কাছে তদন্তের জন্য আহ্বান জানান। প্রাথমিক তদন্ত শেষে ম্যাগনাস জানান, টিউলিপের বিরুদ্ধে মন্ত্রিত্বের আচরণবিধি লঙ্ঘনের বা আর্থিক অনিয়মের কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
প্রধানমন্ত্রীর সমর্থন:
টিউলিপের পদত্যাগপত্রে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার ধন্যবাদ জানিয়ে লিখেছেন, “আপনার পদত্যাগের মাধ্যমে বিভ্রান্তি দূর করার জন্য আপনি একটি সাহসী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ভবিষ্যতে লেবার পার্টির জন্য আপনার জন্য দরজা সবসময় খোলা থাকবে।”
বিরোধী দলের প্রচারণা:
তবে বিরোধী দল কনজারভেটিভ পার্টি বিষয়টি সহজভাবে নিতে রাজি নয়। হ্যাম্পস্টেড অ্যান্ড হাইগেট এলাকায় প্রচারণা চালিয়ে তারা টিউলিপের পদত্যাগের দাবি জোরালো করছে। স্থানীয় পর্যায়ে লিফলেট বিতরণ করে তাকে ৫ বিলিয়ন ডলার আত্মসাতের অভিযোগে অভিযুক্ত করেছে।
ক্যামডেনের কনজারভেটিভ নেতা ডেভিড ডগলাস মন্তব্য করেন, “টিউলিপ সিদ্দিক তেমন ‘ভদ্র মেয়ে’ নন, যেমনটা সবাই ভাবেন।”