গতকাল মঙ্গলবার রাতে ফেসবুকে একটি পোস্টের মাধ্যমে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাষণ প্রচারের বিরুদ্ধে তারা কঠোর অবস্থান নিয়েছে। পোস্টে বলা হয়েছে, আগামীকাল রাত ৯টায় হাসিনার ভাষণ প্রচারের পরিবর্তে জুলাই গণহত্যার ভিডিও, ডকুমেন্টারি ও ছবি প্রদর্শন করা হবে। এছাড়া, হাসিনার ভাষণ প্রচারকারী মিডিয়াকে ‘জাতীয় দালাল’ হিসেবে চিহ্নিত করার হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে বলা হয়, “জুলাই গণহত্যার পর হাসিনার ভাষণ প্রচার করা হবে, এটা আমাদের জন্য অগ্রহণযোগ্য। আমরা আগামীকাল রাত ৯টায় ঢাকা শহরের প্রতিটি মোড়ে জুলাই গণহত্যার ভিডিও ও ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করব। সারা দেশের প্রতিটি মোড়ে, বাজার-হাটে এই ভিডিও প্রচারের আহ্বান জানাচ্ছি।”
এদিকে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ফেসবুকে একটি পোস্টে লিখেছেন, “হাসিনাকে বক্তব্য প্রকাশের সুযোগ দেওয়াকে বাংলাদেশের ফ্যাসিবাদ-বিরোধী জনগণের বিরুদ্ধে ভারতের যুদ্ধ হিসেবে দেখি।” তার এই মন্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
সংবাদমাধ্যমগুলোর উদ্দেশেও একটি পোস্ট করে ছাত্র আন্দোলন। সেখানে বলা হয়েছে, “যে সকল মিডিয়া আগামীকাল হাসিনার বার্তা প্রচারের দুঃসাহসিকতা দেখাবে, তাদেরকে আমরা জাতীয় দালাল হিসেবে চিহ্নিত করবো।” এই হুঁশিয়ারি মিডিয়া জগতে নতুন বিতর্কের সূত্রপাত করেছে।
জুলাই গণহত্যার স্মরণে ছাত্র আন্দোলনের এই ডাকে সারা দেশের ছাত্র-জনতা কী প্রতিক্রিয়া দেখায়, তা এখন দেখার বিষয়। এদিকে, হাসিনার ভাষণ প্রচার নিয়ে মিডিয়ার ভূমিকা কী হবে, তাও এখন প্রশ্নের মুখে।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা চলছে। অনেকেই ছাত্র আন্দোলনের এই পদক্ষেপকে সমর্থন জানাচ্ছেন, আবার কেউ কেউ এটিকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মনে করছেন।