ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাসভবনের নিচে রহস্যজনক বহুতল কাঠামো ও ‘আয়নাঘর’-এর অস্তিত্বের অভিযোগে সামাজিক মাধ্যম উত্তাল হয়ে উঠেছে। শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকেই নেটিজেনরা দাবি করছেন, ভবনের আন্ডারগ্রাউন্ডে একাধিক তলা পানিতে নিমজ্জিত এবং সেখানে মানবচুলের মতো নমুনাও পাওয়া গেছে। সরেজমিনে অনুসন্ধানে উঠে এসেছে চমকপ্রদ কিছু তথ্য।
গোপন কক্ষের সন্ধান:
প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য অনুযায়ী, নির্মাণাধীন ভবনের তিনতলা নিচে নামতেই ধরা পড়ে পার্কিং এরিয়া। তবে এর নিচেও একাধিক তলা থাকার ইঙ্গিত মেলে, যেখানে স্বচ্ছ পানি জমে থাকায় প্রবেশ করতে পারেনি কেউ। স্থানীয়রা জানান, গত কয়েকদিন ধরে ভবনটিতে ব্যাপক ভাঙচুরের কাজ চলছে। এক শ্রমিকের দাবি, “নিচের তলাগুলোতে অদ্ভুত কক্ষ দেখা গেছে, কিন্তু পানির স্তর এত বেশি যে তলদেশ অজানা।”
‘আয়নাঘর’ অভিযোগ ও রাজনৈতিক ইঙ্গিত:
সামাজিক মাধ্যমের দাবি, এই গোপন কাঠামোটি আওয়ামী লীগের একটি ‘আয়নাঘর’ (গোপন নির্যাতনকক্ষ) হতে পারে, যেখানে বিরোধীদের ওপর নিপীড়ন চালানো হয়। কিছু ব্যবহারকারীর অভিযোগ, “ডিজিএফআই ও ডিবি’র সহায়তায় এই গোপন কক্ষ তৈরি করেছে ক্ষমতাসীরা।” তবে এসব অভিযোগের সত্যতা যাচাই হয়নি এখনও।
তদন্তের দাবি:
ঘটনাস্থলে গিয়ে ইত্তেফাক ডিজিটালের প্রতিবেদক নিশ্চিত করেছেন, ভবনের নিচতলায় সিঁড়ি ও পানিভর্তি ফ্লোরের অস্তিত্ব রয়েছে। স্থানীয় এক যুবকের ভাষ্য, “এখানে যা লুকানো আছে, তা দেশের জন্য ভয়ানক হতে পারে।” নেটিজেনরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দ্রুত তদন্ত ও স্বচ্ছতা চাইছেন।
সামাজিক মাধ্যমের প্রতিক্রিয়া:
#ধানমন্ডি_৩২_রহস্য ও #আয়নাঘর_স্ক্যান্ডাল হ্যাশট্যাগে ভাইরাল হয়েছে শতাধিক ভিডিও ও পোস্ট। অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন, “জাতির পিতার স্মৃতিবিজড়িত স্থানেই কেন এই গোপন কর্মকাণ্ড?” অন্যদিকে, রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই অভিযোগের পেছনে থাকতে পারে ষড়যন্ত্রমূলক রাজনীতি।
পরবর্তী পদক্ষেপ:
গোপন কাঠামোর রহস্য উন্মোচনে তদন্তের দাবি বাড়ছে। ইতিমধ্যে স্থানীয় প্রশাসন ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর নজরদারি বাড়ানো হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এই ঘটনা জাতীয় নিরাপত্তা বনাম রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের বিতর্কে রূপ নিতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন পর্যবেক্ষকরা।