পোশাকশিল্পের অস্থিরতা কমছে। ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে কার্যক্রম। গতকাল প্রায় ৯৮ শতাংশ কারখানা খোলা ছিল। তবে ৩৬টি কারখানায় কর্মীরা আসে, কাজ করে না, বিক্ষোভ ও অস্থিরতা তৈরির চেষ্টা করে।
এ জন্য এসব কারখানা বন্ধ রাখা হয়। এদিকে পোশাক মালিকদের সংগঠন গতকাল এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, যেসব কারখানায় অসন্তোষ সৃষ্টি করা হবে ওই সব কারখানা বন্ধ রাখা হবে। বিকেএমইএ ও বিজিএমইএর এ সিদ্ধান্তকে সমর্থন দিয়েছে। উদ্যোক্তারা দাবি করেন, দেশের অর্থনীতিকে বিপদে ফেলতে এই অস্থিরতার অপচেষ্টা করছে একটি গোষ্ঠী।
বিজিএমইএর তথ্য অনুসারে, দেশে সক্রিয় মোট কারখানা দুই হাজার ১৪৪টি। গতকাল বেশির ভাগ কারখানা খোলা ছিল। ৩৬টির পাশাপাশি দুটি বন্ধ ছিল স্ব-বেতনে। আর চারটি কারখানা খোলার পর বন্ধ করা হয়।
সব মিলিয়ে খোলা ছিল দুই হাজার ১০২টি কারখানা। সংগঠনটি জানায়, ৮৮ শতাংশ বা এক হাজার ৮৯৪টি কারখানার শ্রমিকদের আগস্ট মাসের বেতন পরিশোধ করা হয়েছে। সুতরাং বেতন-ভাতাসংক্রান্ত ইস্যু নেই।
এদিকে শিল্পের চলমান সংকট নিয়ে গতকাল রাজধানীর উত্তরায় তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ ভবনে এক মতবিনিময় সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। এতে পোশাকশিল্পের উদ্যোক্তারা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে উপদেষ্টা ফরিদা আখতার, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া, বিজিএমইএ সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলাম।