ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরে আয়নাঘরের গুঞ্জন মিথ্যা! ফায়ার সার্ভিসের তদন্তে চাঞ্চল্যকর ফল
ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরের ঐতিহাসিক ভবনের বেজমেন্টে “আয়নাঘর” বা গোপন বন্দিশালার অস্তিত্বের গুজবকে মিথ্যা প্রমাণ করেছে ফায়ার সার্ভিস। ভবনটি ভেঙে ফেলার পর সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া রহস্যের জবাবে পানি সরানোর পর তল্লাশি চালিয়ে কোনো গোপন কক্ষের চিহ্ন না পেয়ে হতবাক কর্তৃপক্ষ।
গুজবের সূত্রপাত: ভবন ভাঙার পর উত্তাপ বাড়ে
গত ৫ ফেব্রুয়ারি রাতে শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতিবিজড়িত ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরের ভবনটি ভেঙে ফেলা হয়। এরপরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে—বেজমেন্টে “আয়নাঘর” বা গোপন কক্ষ থাকতে পারে। এই গুঞ্জনের প্রেক্ষিতে রোববার সকালে ফায়ার সার্ভিসের বিশেষ টিম বেজমেন্টে জমে থাকা পানি পাম্প করে সরিয়ে তল্লাশি চালায়।
ফায়ার সার্ভিসের তদন্ত: পানি সরালেও মিলেনি কোনো গোপন কক্ষ
মোহাম্মদপুর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার মিজানুর রহমান বিবিসি বাংলাকে নিশ্চিত করেন, “বেজমেন্টের পানি সম্পূর্ণ সেচ করার পর আমরা কোনো গোপন কক্ষ, সুড়ঙ্গ বা আয়নাঘরের অস্তিত্ব পাইনি।” তিনি জানান, পানি পাশের লেকে ফেলার পর ধ্বংসস্তূপ পরীক্ষা করা হলেও কোনো সন্দেহজনক কাঠামো চোখে পড়েনি।
উৎসুক জনতা ও ভাঙা ভবন থেকে জিনিসপত্র উত্তোলন
রোববার সকাল থেকেই ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরের ভবনটি ঘিরে জমে ওঠে উৎসুক মানুষের ভিড়। অনেকে সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া গুজবের সত্যতা জানতে এসেছিলেন। আবার কেউ কেউ ভবনের ধ্বংসাবশেষ থেকে রড, ইটসহ নির্মাণ সামগ্রী সংগ্রহ করে নিয়ে যান। স্থানীয়রা জানান, গত কয়েকদিন ধরে ভাঙা ভবন থেকে জিনিসপত্র তুলে নেওয়ার দৃশ্য সাধারণ ঘটনায় পরিণত হয়েছে।
কী বলছে কর্তৃপক্ষ?
ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা মিজানুর রহমানের বক্তব্য, “আমাদের কাজ ছিল শুধু পানি সরানো। গোপন কক্ষের গুজব তদন্ত আমাদের দায়িত্ব নয়। তবে যা দেখলাম, তাতে কিছুই পাইনি।” এদিকে, ভবনটি ভাঙার পেছনের কারণ ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে এখনো রহস্য রয়ে গেছে।